মান্যবর রাষ্ট্রদূতের বাণী
ওয়ারশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এই ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাগতম। আমরা দেখেছি যে, দূতাবাসের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যাঁরা টেলিফোন, ইমেইল বা সরাসরি যোগাযোগ করেন, তাঁরা প্রধানতঃ কন্স্যুলার বিষয়ক তথ্যের জন্য তা করেন এবং তাঁদের জিজ্ঞাস্যগুলো সাধারণতঃ একইরকম হয়ে থাকে। সেজন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে কন্স্যুলার সংক্রান্ত তথ্য একজায়গায় সন্নিবেশিত করার লক্ষ্যে। আশা করি সংশ্লিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশীসহ ভিনদেশী নাগরিকরাও এতে উপকৃত হবেন। কন্স্যুলার সেবা আরো সহজতর ও আরো দক্ষ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে। পোল্যান্ড, ইউক্রেন ও মলদোভার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা এই দূতাবাসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি বা শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসারে যাঁরা নিয়োজিত হবেন, তাঁদেরকে দূতাবাসে স্বাগতম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্র দর্শনের প্রধান তিনটি স্তম্ভঃ অসাম্প্রদায়িকতা; বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন; এবং সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করার মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রাষ্ট্র ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’ এই পররাষ্ট্র নীতিকে ধারণ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবসভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের পক্ষে এ দূতাবাস পোল্যান্ড, ইউক্রেন ও মলদোভার সহযোগিতা ও অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে লিপিবদ্ধ করছে। একই সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমৃদ্ধতর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ এ শরীক হওয়ার আহবান জানাচ্ছে। আমাদের সম্মিলিত শক্তি আমাদের সাফল্যের ভ্রুণ। সবাইকে শুভেচ্ছা।
পোল্যান্ড, ইউক্রেন ও মলদোভার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দৃঢ় হোক।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।